দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণের মাধ্যমে দেশের ৪৫তম জেলায় যুক্ত হচ্ছে রেল। এটি সরকারের অগ্রাধিকারভুক্ত মেগা প্রকল্প। এর মাধ্যমে পর্যটন শহরের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে রেল যোগাযোগ। নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করা যাবে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের শহরে।
কিন্তু দেশের উন্নয়নে অন্যতম এ প্রকল্প নিয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষের মধ্যে নানা সংশয়-শঙ্কা ও চ্যালেঞ্জ ভর করেছে। প্রকল্প কর্তৃপক্ষের শঙ্কা, নতুন রেললাইনটির বড় একটি অংশ বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত সাতকানিয়া-লোহাগাড়া-চকরিয়া ও কক্সবাজার এলাকায়। সামনে আসছে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়। ২০১৪-১৫ সালের তিক্ত ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে কি না তা নিয়ে শঙ্কা।
শঙ্কা রয়েছে রেললাইনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ চুরির। তবে নতুন রেললাইনটির নিরাপত্তায় দুটি থানা এবং ছয়টি ফাঁড়ি নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করে এক কর্মকর্তা বলেন, ২০১৪-১৫ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে রেললাইন উপড়ে ফেলার ঘটনা সামনে আছে। আমরা চাই, সে সময়ের মতো তিক্ত ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটুক।
এমন কোনো ঘটনা ঘটলে রেললাইন নিরাপদ রাখা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। তাই আমরা সবার কাছে অনুরোধ করব, রেললাইনগুলো যেন নিরাপদ রাখা হয়।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ সবুক্তগীন বলেন, ‘দেশের পর্যটক শহর কক্সবাজারে রেল যাচ্ছে, এটি সবার জন্য গর্বের বিষয়। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতে দেশবিদেশের পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিন্তু এখানে আমাদের মধ্যে একটা সংশয় কাজ করে।
তা হলো, রেললাইনের বিভিন্ন অংশের যন্ত্রাংশ চুরি, স্লিপার খুলে নেওয়া। স্টেশনগুলো এবং রেললাইন অক্ষত রাখা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। এ ব্যাপারে আমরা স্থানীয়সহ সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি। কারণ এটি দেশের জাতীয় সম্পদ। ’
রেলওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী বলেন, ‘কক্সবাজার রেললাইনের নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। ’ প্রকল্পসূত্রে জানা যায়, ৭ নভেম্বর পরীক্ষামূলক রেল চলাচল এবং ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পটির উদ্বোধন করার কথা। তবে উদ্বোধনের আগে আরও একাধিকবার নানাভাবে ট্রায়াল ট্রেন চলাচলের কথা রয়েছে। এ নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। সুত্র: বিডিপ্রতিদিন
পাঠকের মতামত